Mahmudullah Riad বাংলাদেশের ক্রিকেটের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ।
তাঁর নির্ভরযোগ্য ব্যাটিং, কার্যকর বোলিং, এবং ঠাণ্ডা মেজাজ তাঁকে একটি বিশেষ স্থানে পৌঁছে দিয়েছে।
দেশের ক্রিকেট ইতিহাসে তিনি এমন একজন খেলোয়াড়, যিনি প্রায় সময় দলকে কঠিন পরিস্থিতি থেকে উদ্ধার করতে ভূমিকা রেখেছেন।
মাহমুদুল্লাহ রিয়াদের জন্ম ১৯৮৬ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি ময়মনসিংহে।
ছোটবেলা থেকেই ক্রিকেটের প্রতি তাঁর গভীর আগ্রহ ছিল।
স্কুল এবং ক্লাব পর্যায়ে অসাধারণ পারফরম্যান্সের মাধ্যমে তিনি সবার নজর কাড়েন।
তাঁর ক্রিকেটের প্রতি ভালোবাসা এবং কঠোর পরিশ্রমের ফলেই ২০০৭ সালে তিনি বাংলাদেশ জাতীয় দলে অভিষেকের সুযোগ পান।
যদিও প্রথমদিকে তাঁকে বোলিং অলরাউন্ডার হিসেবে দেখা হতো, সময়ের সঙ্গে সঙ্গে তিনি একজন ব্যাটিং অলরাউন্ডারে পরিণত হন।
২০০৯ সালে টেস্ট ক্রিকেটে তাঁর অভিষেক হয়।
তিনি প্রথম বাংলাদেশি ব্যাটসম্যান হিসেবে টেস্ট ডেবিউতে ৫০ রানের ইনিংস খেলেন এবং তখন থেকেই নিজের প্রতিভা প্রমাণ করতে থাকেন।
মাহমুদুল্লাহর ব্যাটিং স্টাইল সবসময়ই ঠাণ্ডা মাথার এবং পরিকল্পিত।
যখন দল চাপের মধ্যে থাকে, তখন তিনি ধৈর্য ধরে খেলে দলকে বিপদ থেকে বের করে আনেন।
বিশেষত বড় টুর্নামেন্টে তাঁর অবদান অবিস্মরণীয়।
২০১৫ সালের ক্রিকেট বিশ্বকাপে ইংল্যান্ড এবং নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে টানা সেঞ্চুরি করে তিনি বাংলাদেশের ক্রিকেট ইতিহাসে নতুন অধ্যায় রচনা করেন।
এখন যদিও মাহমুদুল্লাহকে মূলত ব্যাটসম্যান হিসেবে দেখা হয়, তাঁর অফ-স্পিন বোলিংও দলকে অনেক গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তে সাহায্য করেছে।
দলের জন্য তিনি এমন একজন খেলোয়াড়, যিনি সব বিভাগেই অবদান রাখতে সক্ষম।
২০১০ সালের এশিয়া কাপে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে তাঁর ৩ উইকেট নেওয়া ইনিংসটি তাঁর বোলিং দক্ষতার একটি উদাহরণ।
তাঁর নেতৃত্বশৈলী ঠাণ্ডা এবং পরিকল্পিত, যা দলকে কঠিন পরিস্থিতিতে স্থির রাখতে সাহায্য করে।
তিনি দলকে অনুপ্রাণিত করতে এবং তরুণ খেলোয়াড়দের গাইড করতে সবসময়ই এগিয়ে থাকেন ।
মাহমুদুল্লাহর ক্যারিয়ার অনেক স্মরণীয় মুহূর্তে ভরপুর, এর মধ্যে ২০১৫ বিশ্বকাপে তাঁর টানা সেঞ্চুরি, ২০১৮ সালের নিদাহাস ট্রফির শ্রীলংকার বিপক্ষে তাঁর ঐতিহাসিক ম্যাচ জেতানো মুহূর্ত এবং ২০২১ সালে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে তাঁর অনবদ্য পারফরম্যান্স উল্লেখযোগ্য। প্রতিটি মুহূর্তই প্রমাণ করে যে তিনি একজন প্রকৃত ম্যাচ উইনার।
মাঠের বাইরে Mahmudullah Riad একজন পরিবারমুখী মানুষ। তিনি তাঁর স্ত্রী এবং দুই সন্তানের সঙ্গে সুখী জীবনযাপন করেন।
ক্রিকেট মাঠে যেমন ঠাণ্ডা মাথায় সিদ্ধান্ত নেন, ব্যক্তিগত জীবনেও তেমনি স্থির এবং দায়িত্ববান।
বাংলাদেশ দলের জন্য মাহমুদুল্লাহ শুধু একজন খেলোয়াড় নন, বরং একজন নির্ভরযোগ্য সহযোদ্ধা।
তরুণ প্রজন্মের কাছে তিনি একটি উদাহরণ, মাঠে এবং মাঠের বাইরে।
তাঁর শৃঙ্খলা এবং পেশাদারিত্ব তাঁকে সবার মাঝে জনপ্রিয় করেছে।
উপসংহার
Mahmudullah Riad বাংলাদেশের ক্রিকেট ইতিহাসের এক অনন্য নাম।
তাঁর পরিশ্রম, নিষ্ঠা, এবং অবদান তাঁকে একটি বিশেষ উচ্চতায় নিয়ে গেছে।
ভবিষ্যতে তিনি আরও কত উচ্চতায় পৌঁছাবেন তা সময়ই বলে দেবে, তবে বর্তমানে তিনিদেশের ক্রিকেটের অন্যতম প্রধান স্তম্ভ।